মানিকগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিন আকতার ও তার স্বামী মোহাম্মদ জুয়েল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ফুসে উঠেছে ছাত্রজনতা।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে ফ্যাসিবাদের দোসর গোপালগঞ্জের ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জুয়েল ও তার স্ত্রী গণপূর্তের এক্সেন শারমিন আকতার। গত প্রায় দেড় বছর ধরে এলাকার সাধারণ ঠিকাদারেরা এই দুইজনের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরে ঢুকতে পর্যন্ত পারেনি। স্বামী-স্ত্রী যোগসাযোশের মাধ্যমে সকল নির্মান ও মেরামত কাজ ঢাকার কোম্পানির লাইসেন্স দিয়ে বাস্তবায়ন করতো ফলে সাধারন ঠিকাদারেরা কোনো কাজ পেতোনা। ঠিকাদারেরা হেড অফিসে অভিযোগ দিলে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ সেলিম ক্যাডার বাহিনী প্রেরন করতো। এছাড়া আন্দোলনের ঘোর বিরোধিতা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এর নেতাকর্মীদের আন্দোলন বানচাল করার জন্য অর্থ সাহায্য দিয়েছিলো। জানা গেছে ২৮ জুলাই এই ফ্যাসিস্ট দম্পত্তি মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেছেন। এ বিষয়টি মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগ এর নেতারা জানলে তারাও টাকার জন্য এই দম্পত্তির সাথে দেখা করেন। যুবলীগ এর নেতাদের ১ লক্ষ টাকা দেয়া হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন ছাত্রলীগ ৩ লক্ষ পেলে যুবলীগ তো কমপক্ষে ৫ লক্ষ পাবে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হলে যুবলীগ এর নেতাদের আন্দোলন দমানোর জন্য তারা ৩ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য হন। এমনকি তাদের ফেসবুক আইডিতে উস্কানি মূলক অনেক লেখালেখি করেছে।

স্থানীয় জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গত ৫ আগস্ট মানিকগঞ্জ জেলা সদরের ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সেওতা এলাকায় তাদের সরকারি বাসভবনে আক্রমণ চালালে তারা তাৎক্ষণিক পালিয়ে যায়। তারা স্থানীয় বিএনপিপন্থী ঠিকাদার জিন্নাহ কে সহায়তার জন্য অনুরোধ করলে তিনি তার ভাই আজাদ কমিশনার এর বাড়িতে তাদের আশ্রয় দেন। 

হাসিনা পরিবারের আত্মীয় হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করতোনা। তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। জানা গেছে ডিএমপি কমিশনার হাবিব এর আত্মীয় জুয়েল। তাই গোপালগঞ্জের এডিসি মইনুল এর সহায়তায় পুলিশের সাথে জোগসাজোশ করে তারা স্থানীয় ঠিকাদারদেরকে মামলার ভয় দেখিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে দেয়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক ওমর ফারুক জানান এই কুলাঙ্গাররা ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে ফেইসবুকে স্ট্যাটাসসহ ছাত্রলীগ যুবলীগ কে দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে।

এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিন আকতার এর ব্যাপারটা তিনিও জেনেছেন। দুই একদিনের মধ্যে তাকে ওএসডি করা হবে।